আজকের UGC NET And WB SET Syllabus অধ্যায়ের শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায় রচিত "তুঙ্গভদ্রার তীরে" উপন্যাসটির Part 2 প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হলো।
শরবিন্দু বন্দোপাধ্যায় - তুঙ্গভদ্রার তীরে প্রশ্ন উত্তর আলোচনা : Bangla UGC NET WB SET
- মন্দোদরীর বয়স আনুমানিক ৪০ বছর ।
- ১৮ বছর আগে মন্দোদরীর কলিঙ্গদেশে আগমন হয়।
- এক নৌকা থেকে অন্য নৌকায় দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নৌবহরের সাধারণ রীতি ছিল শাঁখ বাজানো।
- আশঙ্কাজনক কিছু হলে ডংকা বাজানো হতো।
- প্রথম সাঁতারুর নাম ছিল বলরাম।
- ডুবন্ত লোকটির হাতে ছিল দুটি বংশদন্ড ।
- প্রথম ময়ূরপঙ্খী নৌকায় অর্জুন বর্মাকে তোলা হয়েছিল।
- ময়ূরপঙ্খী নৌকায় দুটি রইঘর ।
- যেদিন অর্জুন বর্মাকে জল থেকে তোলা হলো সেদিন ছিল শুক্লা ত্রয়োদশী।
- নৌকার ছাদ পাটাতন থেকে তিন হাত উঁচু।
- বলরাম কর্মকার বঙ্গদেশের লোক।
- মাতুল চিপিটককে কলিঙ্গরাজ ভান্ডারী পদে নিযুক্ত করেন।
- কুড়ি বছর আগে কলিঙ্গরাজ চতুর্থ ভানু দেব যখন দক্ষিণ দেশের এক সামন্ত কন্যাকে বিবাহ করে আনেন ,তখন চিপিটক মূর্তি শ্যালক হিসেবে এসেছিল।
- চিপীটক হল দধি ও গুড় সহযোগে ভৃত্ত পরিজনের জলপান।
- চিপিটক মূর্তির আদি নাম ছিল হরিআপ্পা কৃষ্ণমূর্তি।
- চিপিটক নাম হওয়ার পেছনে দুটো কারণ।
- এক ভৃত্তদের চিপিটক বিতরণ।
- তার চিপিটকের ন্যায় চ্যাপ্টা নাক।
- বলরাম অর্জুন বর্মার নাম ভেবেছিল দন্ড পানি।
- অর্জুন বর্মা গুলবর্গা থেকে এসেছে।
- অর্জুন বর্মা যবনদের হাত থেকে বাঁচতে ভীমা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল।
- ভিমা কৃষ্ণা নদীতে মিশেছে ।
- বলরাম জাতিতে কর্মকার।
- বর্ধমান দামোদর নদীর তীরে অবস্থিত।
- লোহা কিনতে বলরাম জংলিদের কাছে যেত।
- চিপিটক যখন অর্জুন বর্মাকে জেরা করছিল তখন রসরাজ সুশ্রুত সংহিতা পড়ছিলেন।
- হাঙর মুখী নৌকা থেকে জয়দেব গোস্বামী রচিত গান ভেসে আসে।
- বিজয় নগরের যে পাহাড়ের চূড়ায় প্রাতরাশে ধুনি জ্বলে সেটি হলো হেমকূট পর্বত।
- বিজয়নগরে মোট সাতটি প্রাকার ।
- বিজয়নগরের তটরেখার পূর্ব সীমান্তের বিস্তীর্ণ ঘাটের নাম কিল্লাঘাট।
- রাজা কলিঙ্গ রাজকন্যাদের আনতে নিজের প্রতিভূস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন কুমার কম্পন দেবকে ।
- বিদ্যুন্মালাকে জলে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচিয়েছিলেন অর্জুন বর্মা।
- অর্জুন ও বিদ্যুন্মালা মে দ্বীপে আটকে পড়েছিল সেখানে টিট্টিভ পাখির শব্দ পাওয়া গিয়েছিল।
- অর্জুন বর্মা যাদব বংশের।
- বহমনী রাজ্যের রাজধানীর নাম গুলবর্গা ।
- অর্জুন বর্মার পূর্বপুরুষেরা যোদ্ধা ছিলেন।
- তারা গুলবর্গের উপকণ্ঠে জমিজমা ,বাসগৃহ করেছিল।
- অর্জুন বর্মার পূর্বপুরুষেরা কৃষ্ণার উভয় তীরে বসতি স্থাপন করেছিলেন।
- কিন্তু ভাগ্যক্রমে তাদের যবনের অর্থাৎ মুসলমানদের অধীনে থাকতে হয়েছিল।
- যখন যবন এসে গুলবর্গায় রাজধানী স্থাপন করল তখন অর্জুন বর্মার পূর্বপুরুষের রাজ যুদ্ধ ব্যবসা ত্যাগ করলেন, কারণ যুদ্ধ হলো যবনদের পক্ষ নিয়ে স্বজাতিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে।
- অর্জুন বর্মার পিতা গণিত ও জ্যোতিষ বিদ্যার পারদর্শী ছিলেন।
- অর্জুন বর্মার দশ বছর বয়সে মাতা মারা যায়। অর্জুন বর্মা বেদিয়াদের কাছ থেকে গুপ্ত বিদ্যা শিখেছিল।
- অর্জুন বর্মা ও তার পিতাকে মুসলমানে পরিণত করার চেষ্টা করেছিল আহমেদ শাহ।
- অর্জুন বর্মার পিতার বয়স হয়েছিল 50 বছর। অর্জুন বর্মাদের বাড়ি থেকে বিমা নদীর দূরত্ব অর্ধক্রোশ।।
- কলিঙ্গরাজ কন্যাদের চতুর্দলায় করে রাজবাড়ীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন।
- বিজয়নগরের তিনটি গিরি সিংহের নাম হেমকূট ,মতঙ্গ ও মালয়াবন্ত।
- বিজয়নগরের প্রধান রাজপথের নাম পানসুপারি রাস্তা।
- রাজপুরী রক্ষন ও পৌর জলের সেবা করে নারী বাহিনী।
- বিজয়নগর রাজপুরীতে প্রতিহারিনী সংখ্যা ৭০০ জন।
- বিজয়নগর রাজ্যের প্রধান সেনাপতি ও মহাসচিব হলেন লক্ষন মল্লপ।
- সাতশত প্রতিহারিনীর প্রধান নায়িকা পিঙ্গলা। রাজকীয় সভাটি দ্বিভূমক ।
- সভা গৃহের নিম্নতলে সভা বসে দ্বিতীয় তলে তিনটি মহল ।
- রাজসভা হইতে শতহস্ত দূরে রাজকীয় ট্ঙ্কলাচলের পাশে প্রকাণ্ড দ্বিভুমক অতিথি ভবন।
- সভাগৃহের দ্বিতীয় তলের তিনটি মহলের একটিতে মহারাজ দিবাকালে বিশ্রাম করেন।
- দ্বিতীয়টি রাজার পাঠশালা ।তৃতীয়টি কলিঙ্গ রাজকন্যাদের বাসস্থান নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
- রাজগুরু বিদ্যুন্মালাকে পম্পাপতির মন্দিরে পুজো দিতে বলেছিলেন।
- রাজগুরু তিন মাস বিবাহ স্থগিত রাখতে বলেছিলেন ।
- রাজগুরু শ্রাবণ মাসে বিবাহের তিথি নক্ষত্র দেখবেন বলেছিলেন ।
- পান সুপারি রাস্তা দৈর্ঘ্যে ১২ শত হাত লম্বা।
- পান সুপারি রাস্তা প্রস্থে ৪০ হাত।
- বিজয়নগরের স্ত্রী পুরুষ কেউই পাদুকা পরিধান করে না ।
- রাজা যতক্ষণ রাজপুরীর মধ্যে থাকে তিনিও পাদুকা ধারণ করেন না।
শরবিন্দু বন্দোপাধ্যায় এর উপন্যাস তুঙ্গভদ্রার তীরে:
- বিজয়নগরে কেবল তুরানি তিরন্দাজরা স্থুল বিষচর্যের ফৌজি জুতা পড়ে ।
- মুসলমানেরা চামড়ার শূড় তোলা নাগরা পড়ে।
- বিজয়নগর গোলাপ ফুলের জন্য বিখ্যাত।
- অর্জুনকে মালিনী যূথী অশোক ফুলে গাঁথা মালা পরিয়ে দিল।
- মালাটির দাম তিন দ্র্ম্ম।
- কিরাত পায়রা ও বাজ পাখির খেলা দেখাচ্ছিল।
- গুপ্তচর ধরা পড়লে তার শাস্তি ছিল হাতি দিয়ে পিষে মারা ।
- আবদর রজ্জাক ইরান দেশের রাজদূত।
- যে গ্রামে মন্দোদরী ও চিপিটক উঠেছিল সেই গ্রামের পুরনো মোড়ল মারা যায় ৯৩ বছর বয়সে।
- রাজগুরু কুর্মদেব বিদ্যুন্মালাকে পম্পা সরোবরের স্নান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ।
- রাজগুরু পদ্মফুল দিয়ে পম্পাবতীর পূজা করতে বলেছিলেন।
- রাজকুমারী গণের প্রতিদিন পুজো দিতে যাওয়ার ঘটনা বলরাম ও অর্জুন পানের দোকান থেকে জানতে পেরেছিল।
- উপন্যাসে বীরভদ্রের মন্দির,রামস্বামীর মন্দির মল্লিকার্জনের মন্দিরের উল্লেখ আছে।
- গুপ্তচরটি তার নাম বলেছিল বেঙ্কটাপ্পা।
- পম্পা সরোয়ারে যে পাখি অর্জন ও বলরাম দেখতে পেয়েছিল সেটি হল বক ।
- দেবদাসী যে রাগে গান ধরেছিল সেটি হল জয়মঙ্গল।
- বিজয়নগরের রাজবৈদ্য হলেন দামোদর স্বামী। রাজা দেবরায়ের পাট রানী অর্থাৎ বড় রানী পদ্মালয়াম্বিকা।
- পদ্যালয়ার বয়স ২৫ বছর।
- তিনি যুবরাজ মল্লিকার্জুনকে গর্ভে ধারণ করেছিলেন।
- রাজবংশের নিয়ম রানী পুত্রবতী হলে তার নামের সঙ্গে অম্বিকা শব্দ জুড়ে দেওয়া হবে।
তুঙ্গভদ্রার তীরে উপন্যাসের প্রশ্ন উত্তর আলোচনা:
- মধ্যমা রানীর নাম শংকটা। তার মহলে মহারাজ ছাড়া আর কারো প্রবেশাধিকার নেই ।
- কনিষ্ঠা রাণীর নাম বিলোলা দেবী।
- বীরবিজয়দেব রান্না করতে ভালবাসতেন।
- বীরবিজয়দেব ছয় মাস রাজত্ব করেছিলেন।
- বিজয় রায় জ্যৈষ্ঠ পুত্র দেবরায় কে ভালবাসতেন।
- মধ্যমপুত্র বিজয়ের প্রতি তার মন ছিল নিরপেক্ষ।
- কনিষ্ঠ পুত্র কম্পনকে তিনি গভীরভাবে বিদ্বেষ করতেন।
- পৌরজন বিজয় রায় কে আড়ালে পাগল বাবা বলে ডাকতো।
- বিজয়নগর রাজ্যে কেবল যে মহারাজ দেবরায় কে ভালোবাসতেন না তিনি হলেন কম্পন দেব।
- বিজয়নগরের মোট সৈন্য সংখ্যা ১১ লক্ষ্য।
- কুমার বিজয় রায়ের সাথে যত সংখ্যা সৈন্য আছে সেটি হল ৩০ হাজার ।
- অর্জুনের লাঠি চড়াকে যে পাখির সাথে তুলনা করা হয়েছে সেটি হল সারস পাখি।
- বামনদেব দৈবজ্ঞ পণ্ডিতের বাসা রামস্বামী মন্দিরের পাশে।।
- কোথায় পূজো দিলে ছেলে হবে বলেছেন তাম্বল পসারিনী— শিখিধ্বজের মন্দিরে ।
- বামন দেব অর্জুনকে আবার আসতে বলেছিলেন শ্রাবণের অমাবস্যার পর।
- বিজয়নগর এর প্রধান রাজদূতের নাম অনিরুদ্ধ। অনিরুদ্ধ ১০ বছর ধরে দ্বৌতকার্য করছে।
- বিজয় রায় আহারে বসে ছিলেন তা সত্ত্বেও অর্জুন ও অনিরুদ্ধ স্কন্ধাধারে উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথে তার সামনে ধরে নিয়ে আসা হলো কারণ রাজদূত যখনই আসুক তখনই তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে হইবে ইহাই রাজকীয় নিয়ম।
- দূর থেকে গোধূলি আলোয় বিজয়ের আয়ের সৈন্য বাসাটি দেখাইতেছে একটি বিরাট গো গৃহের মত কারণ অসংখ্য গরুর গাড়ি পাশাপাশি সাজাইয়া বিপুল আয়তন একটি চক্রব্যুহ রচিত হইয়াছে।
- পিঙ্গলা অর্জুন বর্মাকে বাজ পাখির ন্যায় তুলনা করেছে।
- শিষ্ট মুসলমানেরা মনে মনে ভয় পায় এবং সেই ভয় চাপা দেওয়ার জন্য অত্যাচার করে কারণ মুসলমানেরা সংখ্যায় মুষ্টিমেয়, হিন্দু সংখ্যা শত গুণ ।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
If you have any questions please ask