নমস্কার বন্ধুরা ইউ জি সি নেট সেট সিলেবাস এর অন্তর্গত উপন্যাস অধ্যায়ের আজ আমি কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতুম প্যাঁচার নকশা উপন্যাসটির সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করব। উপন্যাসটি অনেক বড়ো হওয়ার কারণে Part পার্ট অনুযায়ী আলোচনা করবো। আজকের আলোচনা হুতোম প্যাঁচার নকশা উপন্যাসের প্রশ্ন উত্তর আলোচনা Part 1।
কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতোম প্যাঁচার নকশা উপন্যাসের প্রশ্ন উত্তর - UGC NET Bangla
হুতোম প্যাঁচার নকশা উপন্যাসের ছোট প্রশ্ন:
- কালীপ্রসন্ন সিংহ রচিত "হুতোম পেঁচার নকশা" গ্রন্থটি ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয়।
- এই উপন্যাসটি –ব্যঙ্গ বিদ্রূপাত্মক সামাজিক নকশা জাতীয় রচনা।
- অক্ষয় চন্দ্র সরকার হুতোম প্যাঁচার নকশা সম্পর্কে জানিয়েছেন– "পঠদ্দশায় আর একখানি পুস্তকে আমাকে আলোড়িত করিয়াছিল, আনন্দও পাইয়া ছিলাম। সেখানি কালীপ্রসন্ন সিংহের "হুতোম প্যাঁচার নকশা"।
- "হুতোম প্যাঁচার নকশা" এর প্রথম খন্ড প্রকাশিত হয় ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে।
- গ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয়েছে মুলুক চাঁদ শর্মা কে।
হুতোম প্যাঁচার নকশায় সমাজের যে তিনটি শ্রেণীকে বিদ্রুপ করা হয়েছে তা হলো–★ সাহেবি ওল্ড ইংরেজি শিক্ষিত সাহেবই চালচলন এর অন্ধ অনুকরণকারী।
★ নিউ ইংরেজি শিক্ষিত নব্যপন্থি, যারা সাহেবি চালচলনের অনুকরণকারী নয়।
★ খাস হিন্দু ইংরেজি না জানা গোরা হিন্দু সমাজকে।
Bangla UGC NET Unit 4 - নকশা ও উপন্যাস :
- কলকাতার যে সালের চড়ক পার্বণের প্রসঙ্গ নিয়ে নকশাটি শুরু হয়েছে তা হল –১২০২ সালে।
- ছোপানোর গামছাটি ছিল –তারকেশ্বরের।
- নিমকির দাওয়াদিতে বিলক্ষণ উপায় ছিল 10 টাকা।
- ঝাপের কাঁটা ঘরে রাখলে যে উপকার পাওয়া যায় গিন্নীরা বলেছিল ,তা হলো–"এ জন্মে বিছানায় ছারপোকা হবে না।"
- সন্ন্যাসীরা নাচতে নাচতে পুকুর থেকে যে গাছের ডাল তুলে এনেছিল তা হলো– বৈচির ডাল।
- শোভাবাজার এ মেছুনিরা যে মাছ বিক্রি করছিল তা হল –ওচাঁ পচা মাছ ও লোনা ইলিশ।
- শোভাবাজারের মেছনিরা ক্রেতাদের যা বলে মাছ বিক্রি করছিল তা হল – "ও গামছা কাঁধে, ভালো মাছ নিবি? ও খ্যাংড়া গুপো মিনসে চার আনা দিবি?"
- ঝুল সন্ন্যাস হয়েছিল যে বারে তা হল– শুক্রবার।
- নীলের রাত্রি হয়েছিল –শনিবার।
- নীলের রাত্রিরে যাদের যা চুরি হয়েছিল তা হল– ঘোষেদের বড় পেতলের ঘটি, পালেদের একধামা পেতলের বাসন।
- নীলের রাত্রিতে যাদের সর্বনাশ হয়েছিল তারা হলেন –গন্ধ বেনে ।
- শহুরে কবিরাজেরা যা পড়ে চিকিৎসারম্ভ করেছেন তা হলো –চাণক্য শ্লোক ও দাতা কর্ণের পুঁথি ।
- "নেপো মারে দইয়ের মতন ,এতে বিলক্ষণ গুড় আছে'– যে কাজ সম্পর্কে একথা বলা হয়েছে তা হলো দালালির কাজ।
- সাপ হতেও ভয়ানক, বাঘের চেয়েও হিংস্র, বলা হয়েছে– বাগাম্বর মিত্র কে।
- জিভে, হাতে বান ফুঁড়েছিল– বেনোরা।
- কলকাতার বারোয়ারি পূজার প্রতিমা পূজা শেষ হলেও, ফেলা হয় না– 12 দিন।
- বীরকৃষ্ণ দাঁর ম্যানেজার ছিলেন– কানাইধন দত্ত।
- কেবলচাঁদ ছিলেন বীরকৃষ্ণ দাঁর পুষ্যিপুত্তুর।
- বীর কৃষ্ণদার চেহারা ছিল– শ্যাম বর্ণ, বেটেখাটোঁ। রকমের চেহারা।
- বারোয়ারির অধ্যক্ষ হয়েছিলেন – ঢাকার বীরকৃষ্ণ দাঁ।
- বারোয়ারির বার্ষিক সাধা ও আরো অন্যান্য কাজের দায়িত্ব পড়েছিল কানাইধন দত্তের ওপর।
- বাগবাজার অঞ্চলের এক ভদ্রলোকের বাড়িতে এক জেলে যে মাছ নিয়ে এসেছিল তা হল – 10-12 ওজনের রুই মাছ।
- জেলে মাছটির দাম বলেছিল– ২০ ঘা জুতো ।
- এক চক্ষু কানা এক বেনে বাবুর কোম্পানির কাগজ ছিল– 30 লক্ষ টাকা।
- এক চক্ষু কানা বেনে বাবু বারোয়ারির চাঁদা দিয়েছিল – দুই সিকি।
- সিংগি বাবু বারোয়ারির চাঁদা দিয়েছিলেন –বিলক্ষণ দশ টাকা।
- শান্তিপুর ওয়ালারা বারোয়ারির পূজায় খরচ করেছিল –৫ লক্ষ টাকা।
- শান্তিপুর ওয়ালাদের প্রতিমা খানি উঁচু হয়েছিল– ৬০ হাত ।
- কুকুরের বিয়েতে খরচ– লাখ টাকা।
- ফৌজদারি বালাখানা থেকে বেল লন্ঠন ভাড়া করা হয়েছিল –কুড়িটি।
- হুতোম প্যাঁচার নকশায় সময়কে তুলনা করা হয়েছে নদীর স্রোত ,বেশ্যার যৌবন ও জীবের পরমায়ুর সঙ্গে।
- "মনালে বঁদিয়া জিক্কুল টপ্পা ধরেছিল" –গোবিন্দ বাবু ।
- সৌখিন এর রাজা বলা হয়েছে প্যালানাথ বাবুকে। প্যালানাথ বাবুর বয়স – গত বৎসর ৫০ পেরিয়েছেন।
- প্যালানাথ বাবু ইংরেজি শিখেছিলেন– ১২১৯ সালে সারবরণ সাহেবের নিকট। মাত্র তিন মাস। পূর্বে কথোকতার আসরে প্রধান প্রধান কথক ছিলেন– গদাধর শিরোমণি, রামধন তর্কবিশ, হলঘর, পঞ্চানন প্রমূখ ।
- অল্প বয়সে বিলক্ষণ খ্যাত হয়েছিলেন যে কথক তিনি হলেন –শ্রীধর।
- বারোয়ারি প্রথম পূজা হয়েছিল– শনিবার।
- শনিবার বারোয়ারির প্রথম পুজোয় বলিদান হয়েছিল –তিনটে বড় বড় অর্না মোষ, ১০০ ভেড়া এবং ৩০০ পাঠা।
- বারোয়ারি তলায় পাঁচালী ও যাত্রা হয়েছিল– রবিবার।
- প্রথম দল যে পাঁচালী আরম্ভ করেছিল তা হল– গঙ্গা ভক্তি তরঙ্গিনী।
- দ্বিতীয় দল যে পাঁচালী আরম্ভ করেছিল সেটি হল– মহিরাবনের পালা।
- বারোয়ারি তলায় অনুষ্ঠিত যাত্রা অধিকারীর বয়স– ৭৬ বছর।
- সে বছর "বিদ্যাসুন্দর" যাত্রা হয়েছিল– শ্যামবাজার অঞ্চলের এক বনেদি বাড়িতে।
- দীপচাঁদ গোস্বামীর বাড়ি ছিল– বেনেটোলায়।
- রামহরি বাবুর নিবাস –সোনাগাছিতে।
- নদেরচাঁদ গোস্বামীর জন্ম– কলকাতায়।
নদেরচাঁদ গোস্বামী কে উদ্দেশ্য করে রাম হরি বাবু যে তিনটি প্রশ্ন করেছিল, সেগুলি হল–
★ প্রথমত, " কেষ্টর সঙ্গে রাধিকার মামি সম্পর্ক। তবে কেমন করে কেষ্ট রাধা কে গ্রহণ কল্লেন?"
★দ্বিতীয়ত , "একজন মানুষ ,ভালো দেবতাই হল। যে ষোলশত স্ত্রীর মনোরথ পূর্ণ করেন। এ বা কি কথা?
★ তৃতীয়তঃ "কেষ্ঠ দোলের সময় ন্যাড়া পুড়িয়ে খেয়েছিলেন।তবে আমাদের মটন চপ খেতে দোষ কি?
কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতোম প্যাঁচার নকশা উপন্যাসের প্রশ্ন উত্তর আলোচনা Part 1 :
- ঠক বাগানে ধনুকর্ণ মিত্তিরবাবুর বাপ যে কোম্পানির বাড়ির মুৎসুদ্ধি ছিলেন তা হল– ন্যাট ড্রাইভ মন কিসন।
- ধনুকর্ণ বাবুর বাড়িতে কলেজের প্যারিবাবু, চাদরের ভিতরে নিয়ে এসেছিলেন –এক বোতল ব্র্যান্ডি ও একটি শেরি।
- "তবে যুদ্ধং দেহি" কথাটি বলেছিল রামকালী মুখোপাধ্যায়। ঠাকুর বাবুদের বাড়ির একজন চাকরকে উদ্দেশ্য করে।
- বাঈমহলের ডাইরেক্টর ছিলেন –চকবাজারের প্যালানাথ বাবু।
- শহরের বড় মানুষ বাবুরা প্রতি রবিবার বাগানবাড়িতে যে নাচ দেখে থাকেন, তা হল – খ্যামটা নাচ।
- পক্ষী দলের সৃষ্টিকর্তা ছিলেন– শিবচন্দ্র ঠাকুর।
Conclusion :
বন্ধুরা আজ আমি তোমাদের সাথে ঔপন্যাসিক কালীপ্রসন্ন সিংহের "হুতোম প্যাঁচার নকশা" উপন্যাসটি থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর আলোচনা করলাম। উপন্যাসটি অনেক বড় এবং প্রশ্ন উত্তর অনেক। তাই আমি পার্ট পার্ট করে প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করব। আজকে Part 1
আলোচনা করলাম ।তোমরা অবশ্যই সাথে থেকো। এরপর Part 2 খুব শিগগিরই আসবে।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
If you have any questions please ask