নমস্কার বন্ধুরা, আশা করি তোমরা সকলে ভালো আছো।।আমরা এখন নকশা এবং উপন্যাস অধ্যায়ের আলোচনায় আছি। পুতুল নাচের ইতিকথা উপন্যাসটির প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ পরিচ্ছেদগুলি প্রশ্নোত্তর আমি আলোচনা করেছি আগের লেখাগুলিতে। তোমরা অবশ্যই সেগুলো দেখে নেবে।আজকে আমি ষষ্ঠ এবং সপ্তম পরিচ্ছেদের গুরুত্বপূর্ণ উত্তরগুলি তোমাদের সামনে তুলে ধরব। যেগুলো তোমাদের উপন্যাসটিকে আরো ভালো করে মনে রাখতে সাহায্য করবে এবং পরীক্ষায় কোনরকম কনফিউশন ছাড়াই প্রশ্নের ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারবে।
তাহলে চলো মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস "পুতুল নাচের ইতিকথা" প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ এবং সপ্তম পরিচ্ছেদের প্রশ্ন উত্তর আলোচনা পর্ব।
UGC NET Bangla - পুতুল নাচের ইতিকথা প্রশ্ন উত্তর আলোচনা
ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ:
- শশীর দুই প্রিয়তমা বান্ধবী ছিল –তার ছোট বোন সিন্ধু ও মতি।
- বাসুদেব বারুদের মেজো ছেলে– কলকাতায় চাকরি করে।
- শশী বাসুদেব এর কাছে টাকা পেত।
- ভুতোর মৃত্যুর তিন মাস পরেও যার কান্না শশী শুনেছে সে হলো বিধবা বউয়ের।
- মতি কান্না জুড়ে ছিল —কলকাতা যাওয়ার জন্য।
- জীবনে এই প্রথম দূর দেশে বেড়াইতে চলিয়াছে– মতি।
- তারা কলিকাতায় ছিল পাঁচ দিন।
- তারা দুটি ঘর ভাড়া নিয়া ছিল শিয়ালদহে।
- মতি ওবেলা যেতে চেয়েছিল– জাদুঘরে।
- শশী নিজেকে অপরাধী মনে করতো –গোপালের কীর্তিতে।
- বিন্দুকে শশী দেখেছিল –আড়াই বছর পরে।
- বিন্দুর সন্তান হয়ে মারা গিয়েছিল– আগের বছর।
- বিনদু যে ছবির দিকে তাকিয়ে ছিল সেটা ছিল– রাধা কৃষ্ণের ।
- নন্দ বিন্দুকে যে শাস্তি দিচ্ছে তা হল –রক্ষিতার মতো তাকে ভালোবেসে ।
- বিন্দু যে ঘরে শশীকে নিয়ে গেল সে ঘরে ছিল– তিনটি বালব ।
- বিন্দু ঘরের আসল জিনিস বলতে বুঝিয়েছিল– আলমারিতে রাখা নানা আকারের বোতল গুলিকে।
- সেন দিদির মতে নন্দ বিয়ে করেছে তিনটি ।
- নন্দ প্রথম দিন সাঁড়াশি দিয়ে দাঁত ফাক করে মদ ঢেলে দিয়েছিল সে হলো সেদিন দিদি গোপালের ওপর একটা প্রতিশোধ গ্রহণের ইচ্ছা ছিল সেদিন দিদির। ১৫০ টাকার বিনিময়।
- কুসুম শশির মন পেতে চেয়েছে সাত বছর ধরে।
- শশী বাজিতপুরে যায় বড় অপারেশন দেখার জন্য।
- কুমুদ গ্রামে এসেছিল –ফাল্গুন মাসের গোড়ার দিকে।
- শান্ত সাধারন মানুষ হলো –শশী ।
- শশীর মতো জীবনকে কুমুদ করিতে চায় মন্থর ।
- শশী কল্পনা করে কুমুদের অতীত দিনের উত্তপ্ত উজ্জ্বল জীবন।
- বৈশাখ মাসে কুমুদ যে অপেরা দলে ঢুকবে বলেছিল সেটার নাম ছিল –সরস্বতী অপেরা।
- শশী কুমুদের কাছে চেয়েছিল– ১৫ টাকা।
- "কুমুদ মোতিকে বিয়ে করবি ?ঐটুকু মেয়ে।"–কথাটি শশী কুমুদকে বলেছে ।
- কার মাইকার কারবার ছিল?—কূমুদের কাকার।
- কুমুদের কাকার ছিল দুটি গ্রেড ডেন কুকুর ।
- শশির ঘরে যে ল্যাম্পটি ছিল সেটির দাম ছিল সাত টাকা।
- মতি কুমুদকে যে শিক্ষা দিয়েছিল— সরল মনে স্নেহ ছাড়া আর সবই ফাঁকি জীবনে।
- মতি কুমুদের জন্য এনেছিল এক ডালা কুমড়া ফুল।
- ভবিষ্যতে স্বপ্ন দেখার প্রতিভা আছে কুমুদের।
- শরীর শরীর তোমার মন নাই কুসুম— কথাটি শশী কুসুমকে বলেছিল।
সপ্তম পরিচ্ছেদ:
- বিয়ের পর কুমুদ মতি কে নিয়ে গেছিল– হানিমুনে।
- "দিনরাত হুহু করে জলে মনের মধ্যে"– এখানে বিন্দুর কথা বলা হয়েছে।
- বিন্দুর মন হুহু করে কারণ– নন্দর কাছ থেকে ক্ষমা পাওয়ার জন্য।
- তৈলহীন প্রদীপের মতো নিভে যায়– বিন্দু।
- বিন্দু শশীর কাছে আলমারির চাবি চেয়েছিল মদ খাওয়ার জন্য।
- "বাড়ির মেয়ে এমন বীভৎস ব্যাপারে নায়িকা হতে পারে এটা কল্পনাও করা যায় না"।– এই কথা বিন্দুর ব্যাপারে বলা হয়েছিল।
- "একটা আশ্চর্য দুর্বার যেন অহরহ তার বিরুদ্ধে কাজ করিতেছে" –এখানে শশীর কথা বলা হয়েছে।
- বিন্দু মাথা ধরা থেকে নিষ্কৃতি পেতে শশীর কাছে চেয়েছিল– ঘুমের ওষুধ (এখানে ব্রান্ডি চেয়েছিল বিন্দু)।
- "ওখানে অমনিভাবে থাকা ছাড়া আমার গতি নেই" কথাটি বিন্দু বলেছে– শশী কে।
- কুমুদ সরস্বতী অপেরাতে যোগ দেবে বলেছিল বৈশাখ মাসে।
- মানুষকে আত্মভোলা করিতে পারে –কুমুদ।
- "পরের বার আমাকে যদি জন্মের মতো ত্যাগ করে"– উক্তিটি নন্দের ।
- আমি কাজের মানুষ কাজ নিয়ে থাকি নিজের– উক্তি –নন্দের ।
- কুমুদ বিনোদিনী অপেরা থেকে পালিয়ে ছিল— তিন মাসের টাকা নিয়ে।
- বিনোদিনী অপেরা মেয়ের বিয়ে হয়েছিল কেষ্ট নগরে ।
- বিনোদিনী অপেরার মালিকের নাম ছিল –অধর মল্লিক।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
If you have any questions please ask