হ্যালো বন্ধুরা,
আগের ব্লগটিতে আমি ,মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের "পুতুল নাচের ইতিকথা" উপন্যাসের প্রথম ,দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পরিচ্ছেদ এর প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করেছি। সেখানে আমি প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট কে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সেগুলো যদি তোমরা ভালো করে মুখস্থ করতে পারো ,তাহলে তোমাদের এই উপন্যাস থেকে আসা কোন প্রশ্নেরই উত্তর দিতে কোন রকম অসুবিধা হবে না।।
ইউজিসি নেট সেট পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে গেলে প্রতিটা টেক্সট খুব ভালো করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়া দরকার। কিন্তু তোমরা অনেকেই পড়াশোনা করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যস্ত থাকো আর তোমাদের পড়াশোনাকে আরো সহজ করে তোলার জন্য আমি প্রতিটি টেক্সটের প্রতিটি লাইন থেকে প্রশ্ন উত্তরগুলিকে খুব সহজভাবে তোমাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। ইউজিসি নেটের বাংলা সিলেবাসে যে কটা ইউনিট আছে প্রতিটা ইউনিট থেকেই আমি প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করব বিভিন্ন ধাপে। তাই তোমরা অবশ্যই আমার ওয়েবসাইট টি ফলো করো, তাহলে তোমরা প্রতিটি আলোচনার আপডেট খুব সহজেই পেয়ে যাবে ।
তাহলে চলো আজকে "পুতুল নাচের ইতিকথা" উপন্যাসটির চতুর্থ এবং পঞ্চম পরিচ্ছেদ এর প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করব।
চতুর্থ পরিচ্ছেদ:
- যে মাসে পূজা হয়েছিল —সেটি কার্তিক মাস ছিল।
- গ্রামের জমিদার— শীতল বাবু।
- শীতল বাবুর বাড়িতে তিন দিন যাত্রা ,পুতুল নাচ বাজি পোড়ানো, সাতগাঁয় মেলা।।
- যাত্রা আরম্ভ হয় সপ্তমীর রাতে।
- যাত্রা দলের নাম —বিনোদিনী অপেরা পার্টি (কলকাতা থেকে এসেছিল)।
- যার ছেলের বিয়েতে এই যাত্রার দল এনেছিল সে হল —বাজিতপুরের মথুরা সাহা ।
- বি.এ ফেল করেছিলেন— বিনোদিনী অপেরা পার্টির অধিকারী।
- বি.এ পাস ছিল —দলের দুজন।
- যাত্রা ওয়ালাদের থাকতে দেয়া হয়েছিল— সাত গাঁয়ের কাছারি বাড়িতে।
- কুমুদের প্রথম প্রবেশ ঘটেছে প্রবীর চরিত্র হিসেবে।
- শশীকে শেলীর কাব্য ও মোনালিসার ব্যাখ্যা দিয়েছিল— কুমুদ।
- কুমুদ যেসব চরিত্রে অভিনয় করেছে তারা হল— প্রবীর, চন্দ্রকেতু ও লক্ষণ ।
- কুমুদ পেয়েছে ৭০০টি মেডেল।
- কুমুদ ৩ বছর ধরে ঘুরেছে বাংলাদেশ।
- যাত্রা করে কুমুদের মাইনে হয়েছিল ৭০ টাকা।
- এক বছর পরে কুমুদের মাইনে হলো —আশি টাকা।
- মাসে আটটার বেশি পালা হলে— কুমুদ বোনাস পেত ৫ টাকা ।
- কুমুদ কারোর ঘরে ঢোকেনি প্রায় —চার বছর।
- কুমুদ শশীর বাড়ির উঠোনে দেখেছিল শশীর ভাগনিকে ( পিসির মেয়ের মেয়ে )।
- শশির ছোট বোনের বয়স আট বছর।
- শশী কুমুদকে খেতে দিয়েছিল— খইয়ের মোওয়া ও চন্দ্রপুলি ।
- শশির বাড়ির মেয়েরা লাঞ্ছনা দিয়েছিল— কুমুদকে।
- কুমুদকে– ঢোড়া সাপ কামড়ে ছিল।
- পরানের সাথে কুসুমের বিয়ের সময় কুসুমের বয়স ছিল–১৪ বছর।
- মোক্ষদা যার সাথে যাত্রা দেখতে যাবে বলে ঠিক করেছিল সে হলো– সাঁতরা দের বুড়ি।
- কুসুম-বাসন মাজছিল —আম গাছের তলায়।
- কুসুম যার কোলে বসে পড়েছিল সে হল –চরণ দত্তের গৃহিণী ।
- শশির গায়ে পড়েছিল— পাট করা মুগার চাদর।
- ১৬ জন নৃত্যরত সখীর পরনে ছিল ঘাগড়া।
- প্রবীরের প্রবেশ হয় দ্বিতীয় দৃশ্যে।
- "আমি তোরে ভালোবাসিয়াছি" এটি বলেছিল— প্রবীর মদন মঞ্জুরিকে।
- কুসুমরা ও বাকিরা যাত্রা দেখেছিল রাত তিনটে পর্যন্ত।
- পরানের খেজুর গাছ ছিল 27 টি।
পঞ্চম পরিচ্ছদ:
- পরান যে গাছ জমা দিয়েছিল সেগুলি হল— তালগাছ।
- রাঙা জমিতে সে করবে– মুলার চাষ ।
- মতি তাল পুকুরে এসেছিল– সোনার কানের মাকড়ি খুঁজতে।
- "রূপকথার রাজপুত্র মহাতেজা ,মহাপ্রেমিক.."— মতি কুমুদের সম্পর্কে এই কথাটি ভেবেছে।
- মতির মতে মাটির পৃথিবীর নয় কুমুদ।
- কুমুদ যা যা সাজবে বলেছিল সেগুলি ছিল— রাবণ ও লক্ষণ।
- কুমুদ মতি কে কিনে দিতে চেয়েছিল —সোনার মাকড়ি।
- শীতল বাবুর বাড়ির মেয়েরা পড়েছিল— সিল্কের ব্লাউজ ও বোম্বাই শাড়ি।
- কলিকাতা প্রবাসী ছিল বাবুর ভাই– বিমল বাবু।
- মতি সংসারের যে নিয়ম গুলো জানতো না সেগুলি ছিল –"সংসারে যেখানে যত টাকা সেখানে তত নারী তত পাপ"।
- মোতি যার চশমা দেখেছিল সে হল– বিমল বাবুর স্ত্রী ।
- শীতল বাবুর মতির পরিচয় দিয়েছিল –শশী ডাক্তারের বাড়ির মেয়ে হিসেবে।
- হারু ঘোষের আসল নাম ছিল– হারানচন্দ্র ঘোষ ।
- "এ একটা সমস্যা বইকি" —এখানে সমস্যা টি হলো নতুন মাকড়ি চকচকে আর পুরনো মাকড়ি টি ফ্যাকাসে।
- মাকরি চকচকে করতে —তেতুল মেখে সোডা দিয়ে ধোয়া হয়।
- "সে কিছু জানে না। পৃথিবীর সবই তার অভিনব অভিজ্ঞতার অতীত"–এখানে মতির কথা বলা হয়েছে।
- "তুই উচ্ছন্নে যাবি শশী"– উক্তিটি গোপাল করেছে।
- সেন দিদির বয়স ৩৩ বছর (একটি চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল)।
- শশির রোগী দেখার ভিজিট ১০ টাকা।
- যামিনী কবিরাজের বয়স ৬০-এর ওপরে।
- শশির মতে কুমুদের যে যে রূপ শ্রেষ্ঠ সেটি হল– "মোনালিসার কুমুদ ,ভেনাস ও কিউপিটের কুমুদ, শেলী , বায়রন এবং হুইটম্যান এর কুমুদ।
- শশির মতে –জীবনে আনন্দ পাওয়ার কারণ জীবনকে শ্রদ্ধা করা।
- কুসুমের পেটে ব্যথার কারণ উপোস করা।
- কুসুম তার চিকিৎসার জন্য দিতে চেয়েছিল দু টাকা ।
- শশীর ঘরের বাগানে যে যে গাছ জন্মায় সেগুলো ছিল— আম ,লিচু ,কাঁঠালি চাপা ,কপি ,নোটে, শিউলি ফুল।
- কুসুম যে ফুলগাছটি মাড়িয়ে দিয়েছিল সেটি ছিল– গোলাপ ফুল।
- কুসুম এর বাবার নাম ভুবনেশ্বর।
- গোপাল ওদিকের দাওয়ায় বসেছে —সাত বছর পর।
- গ্রামের মানুষ যে সময়টা সুখে কাটায় সেই সময়টা হল –শীতকাল ।
- এই সময় কই, মাগুর ,শোল মাছ পাওয়া যায়।
- ডোবাতে খোলসে ও ল্যাটা মাছ পাওয়া যায়।
- কুসুম মোটর গাড়ি চড়েছে কলকাতাতে (আট বছর আগে)।
- কুসুমের বয়স এখন ২২ বছর।
- সুদেবের নিজের মামা নিতাই।
- লালী কে বেচবার সময় ঠিক হয়েছিল প্রথম বাছুরটা পরান পাবে।
- নিতাই লালি কে কিনেছে হারু ঘোষের কাছ থেকে।
- নন্দলাল বোম্বে গিয়েছিল 10-15 দিনের জন্য।
- কলকাতার বাবু নন্দলাল ।
- শশী যার গাড়ি নিয়ে ঘাটে গিয়েছিল সেটি ছিল— বিমল বাবুর গাড়ি।
- শশীর কাছে টাকা ধার নিয়ে পরান খেজুর গাছ করেছে চল্লিশটা।
- কুন্দ ছিল শশির মামাতো বোন।।
- শশির মতে কুমুদের যে কথাগুলো মিথ্যা নয় সেগুলো হল –"কাপড় মাপার গজ দিয়া আমরা আকাশের রং মাপি। জীবনের অবস্থা হিসেবে আমরা বিচার করি সংসারের সুখ দুঃখ"।
- শশীর ছেলে মানুষী শখ ছিল –টিলার ওপর উঠে সূর্যাস্ত দেখা।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
If you have any questions please ask