নমস্কার বন্ধুরা আমি Niharika Ganguly আজকে আমি তোমাদের সাথে আলোচনা করব বাংলা UGC NET Syllabus এর ইউনিট 4 অধ্যায় থেকে মানিক বন্দোপাধ্যায় এর রচিত "পুতুল নাচের ইতিকথা উপন্যাস" এর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পরিচ্ছেদ এর প্রশ্ন উত্তর।
প্রথম পরিচ্ছেদ এর অবশ্যমভাবি প্রশ্ন উত্তর অর্থাৎ Important Points আলোচনা ছবি সহ তোমাদের সাথে শেয়ার করেছি। তোমরা সেই ব্লগ টি চাইলে দেখতে পারো।।
এখনই পড়ুন : মানিক বন্দোপধ্যায় | পুতুল নাচের ইতিকথা প্রশ্ন উত্তর - UGC NET/SET/JRF
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ :
- "একদিকে তাহার মধ্যে কল্পনা ভাবাবেগ ও রসবোধের অভাব নাই অন্যদিকে তেমনি সাধারণ সাংসারিক বুদ্ধি ও ধনসম্পত্তির প্রতি মমতাও তাহার যথেষ্ট" —এখানে শশী দাসের কথা বলা হয়েছে।
- শশী চরিত্রের এই দিকটি গড়ে তুলেছেন তার বাবা গোপাল দাস।
- গোপাল দাসের পেশা ছিল দালালি ও মহাজনি।
- গোপাল তিনটি মানুষের দালালি করেছিল।
- তিনজনের মধ্যে একজন ছিল সেন দিদি।
- গ্রামের কলঙ্কিনীদের মধ্যে বিখ্যাত সেন দিদি গোপাল কে নিয়ে।।
- গোপালের একমাত্র ছেলে শশী।
- সেন দিদি, কায়েত বাড়ি যায় কাসুন্দি বানাতে।
- গোপালের বড় মেয়ের নাম বিন্ধবাসিনী। বড় গা৺ য়ের নায়েব শ্যামাচরণ দাসের বড় ছেলে মোহনের সাথে তার বিয়ে হয়েছে তার একটি পা খোড়া।
- মেজো মেয়ে বিন্দুবাসিনী কলকাতার বড়বাজারে নন্দলাল এন্ড কোং এর নন্দলালের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে।
- ছোট মেয়ের নাম সিন্ধু।
- নন্দলাল এসেছিল সাত বছর আগে
- বিন্দু ৭ বছরের মধ্যে বাপের বাড়ি এসেছিল তিন দিনের জন্য।
- শশী ডাক্তারি পড়েছিল কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে।
- শশীর বন্ধু ছিল কুমুদ। বাড়ি বরিশালে ,তার স্বভাব ক্ষ্যাপাটে।
- " হৃদয় ও মনের গড়ন আসলে তাহার গ্রাম্য"—এখানে শশির কথা বলা হয়েছে।।
- শশী যে পাখির নাচ দেখবে বলে ভেবেছে সেই পাখিটির নাম- কেণারি পাখি।
- হারুর বউ মোক্ষদা। ছেলের নাম পরান এবং পরানের বউ কুসুম।
- কুসুমের বয়স ২৩। সে বা্৺জা ।
- বাস্তু ভিটে ছাড়া হারুর সবকিছু বাধা আছে কুসুমের বাবার কাছে।
- তাল পুকুরের ধারে বসে থাকে কুসুম।
- কুসুমের বাবা দু বছর পাগল হয়েছিল।
- "আমার অদৃষ্টে মরণ নেই "—এই উক্তিটি করেছে কুসুম।
- "ওর এইসব খাপছাড়া কথায় ব্যবহারে একটা মিষ্টি ছন্দ আছে।"— এখানে কুসুমের সম্বন্ধে বলা হয়েছে।
- চাঁদ উঠিলে বেগুন খেতে কুসুম শোনে -"ভিন দেশী পুরুষ দেখি চাঁদের মতন, লাজ রক্ত হইল কন্যা, পরথম যৌবন।
- বাসুদেবের ছেলের নাম ভুতো ।সে ছোট ছেলে। আর তার বয়স ১০ বছর। সাত আট দিন আগে মগডাল থেকে পড়ে গেছিল ভূতো।
- ভুতের মায়ের নাম লক্ষ্মীমণি ।
- ভুতোরা চার ভাই। বড় বউ বিধবা ।
- ভুতো জাম আনতে গাছে উঠেছিল বড় বউ এর জন্য।
- বাসুদেবের পদবী— বন্দোপাধ্যায় ।
- ভুতো যেদিন আছাড় খেয়েছিল সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার।
- কথাটি বলেছিল— পঞ্চানন চক্রবর্তী।
- নবীনের বড় ছেলেকে কুমিরে নিয়েছিল বৃহস্পতিবার।
- কার মেয়ের নামে কলঙ্ক ?—এখানে পূর্ণ তালুকদারের মেয়ের নামে কলঙ্কের কথা বলা হয়েছে।
- বিদেশবাসী গাঁয়ের বড় চাকরের নাম সুজন দাস।
- জমিদারের মুহুরী —পঞ্চানন চক্রবর্তী।
- পেনশন প্রাপ্ত হেড পিয়ন হল —কীর্তি নিয়োগী।
- গায়ের বাংলা স্কুলের মাস্টার শিবনারায়ণ।
- শশীর এদের মধ্যে স্বতন্ত্র বলে মনে হয়— ভুজঙ্গ ধরকে।
- ভুজঙ্গ ধর ছিল উকিলের মুহুরী ।(জেল খেটেছে দু'বছর।)
- কীর্তি শ্রীনাথের দোকান থেকে কিনে ছিল— এক পয়সার সাবু।
- যাদব পন্ডিতের হাতে ছিল—ক্যাম্বিশের ব্যাগ ,লাঠি, গায়ে উড়ানি।
- ধার্মিক ও অলৌকিক শক্তি সম্পন্ন ছিলেন —পাগল দিদি।
- যাদব কিসের ভয়ে লাঠি ঠুকে যেতেন— সাপের ভয়।
- যাদব শশীকে খেতে দিয়েছিল— আঙ্গুর ফল।
- " ডুরে শাড়িটি পড়ে, চুলটি বেঁধে, বৌ টি সেজে যে বসেছিলাম তোমার জন্য"— উক্তিটি পাগল দিদি শশীর প্রতি করেছে ।
- পাগল দিদির মুখের রেখা গুলি দেখে শশির মনে হয় —কালের অঙ্কিত চিহ্ন ।
- এই পরিচ্ছেদে যে যে চরিত্রগুলি প্রসঙ্গ আছে সেগুলি হল কুসুম,কুমুদ, পাগল দিদি এবং যাদব পন্ডিত।।
তৃতীয় পরিচ্ছেদ:
- গাও দিয়ার গোপ সমাজ কাকে ভদ্রলোক বলত— হারু ঘোষকে ।
- নিতাইয়ের ভাগ্নের নাম —সুদেব ।
- সুদেবের বয়স ৩৬ ।মতির সঙ্গে সুদেবের বিবাহ দেয়ার চেষ্টা করেছিল নিতাই।
- কার গোড়ার দিকে ম্যালেরিয়া হয়েছিল?— মতির।
- যামিনী কবিরাজ সিদ্ধির পাতা দিয়ে কি তৈরি করে— চবনপ্রাস ।
- "মহাকপিলাদি বটিকা" কার তৈরি— যামিনী কবিরাজের।
- " এই তোমার উঠতি প্রসারের সময় ,এখনই একটা বদনাম রটে গেলে ......এও কি তোমায় বলে দিতে হবে "—কথাটি গোপাল শশী কে বলেছে।
- শরৎকালে বসন্ত রোগ হয়েছিল— সেন দিদির।
- "হয়তো সীতা আর হেলেন আর ক্লিওপেট্রার মতো যার অসাধারণ রূপ থাকে তাহাকে ঘিরিয়া অনেক খাপছাড়া কাণ্ডই ঘটতে থাকে জগতে"— এখানে সেন দিদির কথা বলা হয়েছে।
- ঠাকুরদা অর্থাৎ যামিনী ভেবেছিল সেন দিদির রোগ হয়েছে— ম্যালেরিয়া।
- চিকিৎসা করতেযে এসেছিল সে হলো— ভূপতি চরণ ।
- "সব ঔষধে হয় মদ না হয় সিরাপের গন্ধ, এই কথাটি —যামিনী কবিরাজ শশীকে বলেছে।
- ওষুধ ছিল —গুটি বসাবার।
- "বাঁচবো তো শশী?"— উক্তিটি করেছিল সেন দিদি।
- সেন দিদি শশী কে ভালোবাসে, এটা শশী জানে ১২ বছর ধরে।
- "ওকে দেখিতে দেখিতে সকালবেলা বিড়ি টানা আলস্য আরো মিষ্টি লাগে শশীর "—এখানে শশীর মতি কে দেখে এ কথা মনে হয়েছে।
- কাতৌড়া হলো একটি পাখির নাম।
- তাল-পুকুরের নির্জনতাকে উপভোগ করে —মতি।
- মতি মরিবার আশীর্বাদ করে— সুদেবকে ।
- স্বপ্ন কার অফুরন্ত— মতির।
- মতির মনে হয় তার ননদ হবে সেন দিদির মত সুন্দরী।
- সুদেবের সঙ্গে মতির বিয়ে হলে তালপুকুরে ডুব দিয়ে মরবে —শশী।
- মতি কুসুমের হাতে কামড়ে দিয়েছিল।
Disclaimer:
আজ আমি তোমাদের সাথে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের "পুতুল নাচের ইতিকথা" উপন্যাসের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পরিচ্ছেদ এর উত্তর আলোচনা করলাম।
প্রতিটি উত্তর আমি উপন্যাস টি পড়ে নিজে থেকে তৈরি করেছি।। অনুগ্রহ করে কেউ Copy করে নিজের নামে চালাবেন না বা অন্য কোনো ওয়েবসাইটে Share করবেন না।
যারা যারা UGC NET SET JRF এর জন্য পড়াশোনা করছে তাদের সাথে এগুলি Share করতে চাইলে আমার Blog টির লিংক তাদের সাথে Share করতে পারেন।
প্রতিটি মানুষের জীবনে সাফল্য আসুক সেই চেষ্ঠা আমার এই ব্লগ টির মাধ্যমে করতে চাইছি।
কোনো রকমের সমস্যা বা প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
If you have any questions please ask