বাংলা ইউজিসি নেট (Bengali UGC NET Unit 3 And WB SET) সিলেবাস এর অন্তর্গত ইউনিট থ্রি এর কাব্য কবিতা অধ্যায়ের বিহারীলাল চক্রবর্তীর "সাধের আসন কাব্যের গুরুত্ব অপরিসীম" কাব্যটির প্রশ্ন উত্তর পর্বের আলোচনা আজ তোমাদের সাথে করলাম ।অবশ্যই প্রশ্ন উত্তর মুখস্থ করার আগে সিলেবাসের অন্তর্গত সমগ্র কাব্যের প্রতিটি কবিতা এবং সর্গ ভালো করে পড়ে নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।। প্রতিটি কবিতা ভালো করে পড়া থাকলে এবং মুখস্থ থাকলে সহজেই প্রশ্ন উত্তর বুঝতে অনেকটা সুবিধা হবে তোমাদের ক্ষেত্রে।
বিহারীলাল চক্রবর্তী - সাধের আসন কাব্যের প্রশ্ন উত্তর আলোচনা- UGC NET/WB SET:
সাধের আসন কাব্যের বিষয়বস্তু:
- বিহারীলাল চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ কাব্য হিসেবে মনে করা হয় সারদামঙ্গলকে।
- সাধের আসন কাব্যটির দশটি সর্গ ।
- বিহারীলালের কোষ কাব্য সাধের আসনকে সারদামঙ্গল কাব্যের পরিপূরক বলা হয়।
- কাদম্বরী দেবীর প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সাধের আসন কাব্যের নামকরণ করেছেন কবি ।
- কবি তাঁর স্বপ্নরূপিনি কে যুবতী সতীর সাথে তুলনা করেছেন।
- কবি তাঁর স্বপ্ন রূপিণীকে জননী, পিতা স্ত্রী ও বন্ধুর সাথে তুলনা করেছেন ।
- কবি প্রেম ভক্তি স্নেহরসের সাথে পাঠক সকলকে আবদ্ধ করে রেখেছেন ।
- মহামায়ারূপি সৌন্দর্যভাবে বিহ্বল ও কবি তাকে লাভ করতে চান এই বিষয় প্রথম স্বর্গে স্থান পেয়েছে।।
- দ্বিতীয় সর্গ শুরু হয়েছে সূর্যাস্ত যাওয়ার বর্ণনা দিয়ে এবং সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে ।
- আকাশে চাঁদ তারা ফুটে উঠেছে এবং মায়ের কোলে বসে শিশু সেই দৃশ্য দেখছে ।
সাধের আসন pdf দরকার হলে অবশ্যই আমাকে Comment করে জানাবেন।
- কবি দ্বিতীয় স্বর্গে মাতৃ বন্দনা করেছেন।
- কবি বলেছেন — "দাঁড়াও চরণে ধরি, পূরার প্রানের সাধ ,জুড়াবো তাপিত মন ।"অর্থাৎ দাড়াও সৌন্দর্যময়ী মা আজ তোমার চরণ ধরে তোমাকে পূজা করব। প্রাণের যত স্বাদ আছে সব মিটিয়ে নেবেন ।
- কবি তৃতীয় স্বর্গে প্রকৃতির সৌন্দর্য ব্যক্ত করেছেন। যেমন —ভোর হয়েছে ,ফুলেরা জেগে উঠেছে, চারিদিকে পাখির ডাকে আকাশ মেতে উঠেছে।
- কবির ইচ্ছা হয়েছে অমৃতময় সাগরে ভেসে ভেসে নলিনী পদ্ম তুলে দেবীর পা দুখানি সাজিয়ে দেওয়ার।
- কবি সাধের নন্দন বনকে স্বপ্নে দেখেছেন।
- নীল আকাশে শুকতারা উঠেছে ।
- কবি নন্দন বনে ঘুমিয়ে পড়েছেন এবং ঘুম ভেঙে দেখেছেন আলু থালু বেশে প্রিয়া যেন ঘুমোচ্ছে।
- কবি প্রিয়ার মুখখানি বর্ণনা করেছেন তার কাব্যে— প্রিয়ার মুখখানি স্নেহ মাখা ,ত্রিলোক সৌন্দর্যময়ী। সৌন্দর্য লক্ষ্মীকে সচিবানন্দ বলে মনে করেছেন কবি। যেন চোখ বুঝেও তাকে দেখতে পান।
- কবি বিচিত্র মূর্তি ও উদার জ্যোতিষ্মতী অমরাবতীকে দেখেছেন।
- শ্রুতিমধুর গান যেন অমরাবতীকে মুখর করেছে।
- কবি অমরাবতীর অবস্থানকারী কন্যাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন —তারা নরম হাতে ফুল তুলে মুখে ভক্তি ভরে লাস্যময়ী মুখে মালা গেঁথে চলে।
- ষষ্ঠ স্বর্গে কবিতার সৌন্দর্য লক্ষীকে কখনো উষা রূপে ও অমরাবতীর পবিত্রতা সতী রূপে দেখেছেন।
- সৌন্দর্যলক্ষ্মী কে কবি দেবী দুর্গার সাথে তুলনা করেছেন।
- দেবী দূর্গাকে যেমন বিদায় কালে মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে ঠিক তেমন সৌন্দর্য লক্ষ্মীকে দেখতে দেখতে নতুন কালের আগমন ঘটে।
- কবি সৌন্দর্য লক্ষীকে সপ্তম স্বর্গে মায়া রূপে কল্পনা করেছেন।
- মায়ের কোলে ভুবন মোহিনী আনন্দের নৃত্য করে।
- মানব- দানব -রক্ষঃ - সবাই প্রার্থনা করে দেবীকে কাছে পেয়েছে কিন্তু কবি সামান্য মানুষ হয়েও তার ইচ্ছা এখনো অসম্পূর্ণ ।তাই কবি মায়ার উদ্দেশ্যে প্রার্থনা জানিয়েছেন।
- অষ্টম স্বর্গে কবি কুঞ্জবন পরিবৃত মন্দাকিনী বাসন্তী কূলে সৌরভময় পাখির কলতানে মগ্ন অনন্ত যৌবনময় শশী কলার বর্ণনা এই অংশ দিয়েছেন।
- কবি গানের মধ্যে দিয়ে নির্দিষ্ট রাগিনী ও তালের সমন্বয়ে শশী কলার রাত্রির অন্ধকার নক্ষত্রময় আকাশে যে অপূর্ব মোহনীয়ময় রূপ নিয়ে উদ্ভাসিত হয় তার কথা বলেছেন ।
- কবি মন তার সৌন্দর্য লক্ষীকে না দেখতে পেয়ে হাহাকার করে উঠেছে।
- কবি ভেবেছেন সৌন্দর্যলক্ষী অভিমান করে মর্তভূমি ছেড়ে অন্য কোথাও চলে গেছে।
- কবি তাঁর সৌন্দর্য লক্ষ্মীর জন্য যত্ন করে আসনখানি রেখেছেন ।তার মুখ কখনোই ভুলবেন না।
- সতীপতি পত্নী প্রেম অমর মরনেও মরে না ।
- কবি তাঁর প্রতিব্রতা দেবীকে এই ধরায় আসতে বারণ করেছেন।
- পুরুষ মন প্রাণ যৌবন দিয়ে কখনো ভালোবাসে না। পশুর মত নিত্য নতুন খাদ্য চায়।
- ধরাভূমিতে কবিকে তার সৌন্দর্য লক্ষ্মী দেখা দিয়ে চলে গেছে যেমন করে সুখ তারা চলে গেছে।
- সারোদামঙ্গল রুপি দেবী তার সাধের আসন পেতে হাত বাড়িয়ে দেন এবং মধুর বাক্যালাপে কথা বলেন।
- কবি বলেছেন যোগেন্দ্র বালার নয়ন আর সারদা মূর্তি দেখলেই হৃদয় জুড়ায় ।
- শান্তিগীত অংশে কবি প্রেয়সির মধ্যে সারদা ,সীমার মধ্যে অসীম, রূপের মধ্যে অপরূপকে দেখেছেন।
সাধের আসন কাব্যের সর্গ বিভাগ:
- সাধের আসন প্রথম সর্গ এর নাম মাধুরী।
- স্তবক সংখ্যা ৩০ টি ।
- প্রথম স্তবকে সংস্কৃত মন্ত্র আছে —যেমন:
- প্রথম স্বর্গে স্বপ্ন রাগিনীকে সতীর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ।
- বিশ্বরূপীকে মা রুপে সম্বোধন করা হয়েছে।
- দ্বিতীয় সর্গ ।
- "গোধূলি " —ছটি স্তবক।
- " নিশীথে — ১৫ টি স্তবক।
- মোট স্তবক সংখ্যা ২১ টি ।
- দ্বিতীয় স্বর্গে গোধূলি ও নিশীথে নামে দুটি কবিতা আছে।
- মন্থর গামিনী অর্থ ধীর গতিতে।
- প্রভাজাল অর্থ সূর্যালোক ।
- তৃতীয় সর্গ
- প্রথম কবিতা: প্রভাত —স্তবক সংখ্যা সাতটি।
- দ্বিতীয় কবিতা: যোগেন্দ্রবালা —নটিস্তবক ।
- মোট স্তবক সংখ্যা 16 টি ।
- প্রভাত ও যোগেন্দ্রবলা নামে দুটি কবিতা আছে।
- তৃতীয় স্বর্গে ললিত রাগের উল্লেখ আছে।
- সুধীর অর্থ শান্ত।
- চতুর্থ স্বর্গের নাম নন্দনকানন।
- স্তবক সংখ্যা ২৫ টি।
- পারিজাত অর্থাৎ স্বর্গীয় ফুল ।
- কল্পতরু অর্থাৎ যে স্বর্গীয় বৃক্ষের কাছ থেকে আকাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করা যায় ।
- স্বর্গ মর্ত্য পাতালের উল্লেখ আছে।
- পঞ্চম স্বর্গের নাম অমরাবতীর প্রবেশপথ।
- স্তবক সংখ্যা 16 টি।
- যোগেন্দ্রবালার অর্থ সারদা ।
- কামধেনু অর্থাৎ ইচ্ছা পূরণ করা গাভী।
- ষষ্ঠর্গের নাম — "কে তুমি? "।
- স্তবক সংখ্যা 23 টি ।
- ত্রিদিব মানে স্বর্গ ।
- দিগঙ্গনা অর্থাৎ দিকের প্রতিষ্ঠাত্রী দেবী।
- ত্রিতাপ অর্থাৎ আধ্যাত্মিক ,আধি দৈবিক ও আধি ভৌতিক।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
If you have any questions please ask